রাবিতে ডিভিএম বিভাগের চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ
মো. রাফাসান আলম, রবি প্রতিনিধি:।।। দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি না মানায় বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস (ডিভিএম) বিভাগের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মবিরতিতে যায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভাগে তালা দিয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন তারা। আন্দোলনরত ভেটেরিনারি বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের ইন্টার্ণ শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, "আসন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা সেপ্টেম্বর মাসে একটা আন্দোলন করেছিলাম। আন্দোলনের ৭ নম্বর দাবির মধ্যে ছিল 'লেভেল-৫' সেমিস্টার শেষ করার পর আমাদেরকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। কিন্তু যখন বিসিএস এর সার্কুলার দেওয়া হলো, দুইবার আবেদন করার পরও তারা আমাদের দাবি নাকচ করেছেন।" তিনি আরো বলেন, "আমরা আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। দাবি না মানায় গতকাল ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আজকে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিভাগের চেয়ারম্যান স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছি।" একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার লাবণী বলেন, "আমাদের ডিপার্টমেন্টর এইটা পাঁচ বছরের ডিগ্ৰি। অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের তুলনায় আমাদের এক বছর সময় বেশি লাগে। সেশন জট, কোভিড-১৯, জুলাই বিপ্লব সবকিছু মিলিয়ে আমরা প্রায় দুই বছর পিছিয়ে আছি। সেপ্টেম্বরে আন্দোলন করলে শিক্ষকরা আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু তিন মাস পার হলেও আমরা আমাদের দাবি পুরণ হয়নি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮ টা ডিপার্টমেন্ট বিসিএস দেওয়ার সুযোগ পেলেও আমরা পাচ্ছি না।" এবিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কায়েস মাহমুদ বলেন, "বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস দেওয়ার সুযোগ পেলেও আমরা পাচ্ছি না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্নশিপে ক্রেডিট সিস্টেম নেই। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্রেডিট সিস্টেম চালু রেখে আমাদেরকে বিসিএস দেওয়া থেকে আটকে রেখেছে।" এবিষয়ে জানতে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. ময়জুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
আপনার অনুভূতি কী?