চিলমারীতে মসজিদে খিচুড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২।
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১২ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে মসজিদের খিচুড়ি বিতরণ শেষে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। গতরাতে উপজেলা রমনা ইউনিয়নের রমনা খামার ঈদগাহ মাঠ জামে মসজিদে খিচুরি বিতরণকে কেন্দ্র এ মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, সোহান মিয়া (১৭), পিতা মমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান (২০), পিতা বাবলু মিয়া। উভয়েই রমনা খামার এলাকার বাসিন্দা। এই দুইজনকে কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতাল রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশকয়েক মারধর খেয়েছেন বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতরাতে রমনা খামার ঈদগাহ মাঠ জামে মসজিদে ১২ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে খিচুরী আয়োজন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেয় রাঙা মিয়াসহ বেশ কয়েকজন। এসময় যারা পরিশ্রম করেছে রান্নার কাজে তাদের আগে খেতে দেয়া হয়েছিল। এসময় মেহেদী, লিমন, মিজানুরসহ কয়েকজন এসে খিচুরির প্যাকেট চেয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল মসজিদে মিলাদ ও দোয়া শেষে বিতরণ করা হবে ওখানে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে উভয়পক্ষ। পরে মিলাদ শেষে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লীদের মাঝে খিচুরি বিতরণ শেষে অবশিষ্ট প্যাকেট এলাকায় বাড়ি বাড়ি দিয়ে খামার বাধ চৌরাস্তার মাথায় আসলে বাবু মিয়াসহ তার লোকজন উভয়েই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। রমনা খামার ঈদগাহ মাঠ জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রাজা জানান, ঘটনার সময় আমি রংপুরে ছিলাম। বিষয়টি জানতে পেরেছি মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সমাধানের চেষ্টা চলছে। চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
আপনার অনুভূতি কী?