দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে নড়াইলে বেড়েছে মৃৎশিল্পিদের ব্যস্ততা
রাসেল মোল্লা নড়াইল: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে গোটা নড়াইল জুড়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। যে কাজে এরই মধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীরা। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গোৎসবের আয়োজনকে ঘিরে কোনো কিছুর কমতি রাখতে চান না মন্দির কমিটিগুলো। বিগত দিনের থেকেও জাকজমকপূর্ণ আয়োজন করা হবে বেশিরভাগ মন্দিরেই। জানা গেছে, জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা নির্মাণে মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা। নড়াইল জেলার পাল পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা জানিয়েছেন, এ বছরও তারা অন্য বছরের মতো প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা নির্মাণ করছেন। তবে এ বছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা নির্মাণের খরচ একটু বেশি পড়বে। প্রতিমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। পূজার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিমার গায়ে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুন্ডু জানান, নড়াইল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা। আশা করি প্রতিবছরের মতো এবারও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর পিপিএম (বার) জানালেন, পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপুজা সম্পন্ন হবে। পঞ্জিকা মতে, ২ অক্টোবর মহালয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে বেজে উঠবে দেবীর আগমনি বার্তা। ৮ অক্টোবর দেবী দুর্গার মর্তে আগমনী বার্তায় দেবীর বোধন পূজা। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দেবীর দুর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ। ওইদিন মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের শব্দ। ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজা। ১১ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমী পূজা। মহানবমী পূজা ১২ অক্টোবর। দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্তে দেবী বিসর্জন ও দশ হরার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হবে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আপনার অনুভূতি কী?