যশোরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র বন্ধ
খন্দকার তরিকুল ইসলামঃ যশোরের সদরে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র'টি (৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সারাদিন বন্ধ ছিলো । এর ফলে শনিবার পুরোদিন'টি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রান্তিক জনগন। এনিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ শনিবার বেলা সাড়ে ১১'টার সময় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের একমাত্র স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (শাখারীগাতী) গিয়ে দেখা যায়, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান'টির প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো। নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারিও। অনেকে সেবা নিতে এসে ফিরে চলে গেছে। শনিবার সরকারি ছুটি না থাকলে হঠাৎ বন্ধ করে রাখার বিষয়টা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। সরকারি ভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশী জনগোষ্ঠীকে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন রকম সেবা ও প্রয়োজনীয়্ ওষুধ প্রদানের নিয়ম ও বাধ্যকতা রয়েছে। সপ্তাহের ৬'দিন শুক্রবার ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল-৯টা থেকে সাড়ে ৩'টা পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা প্রদানের নির্ধারিত নিয়ম-নিতি রয়েছে। তবে ৭ সেপ্টম্বর শনিবার দিনটা ব্যতিক্রম ছিলো যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র'টি। কোনো রকম ছুটি ছাড়াই সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি একযোগে অনুপস্থিত থাকায় কাঙ্খিত সেবা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সেবা না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে অনেক'কে। এদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সরজমিনে ঘুরে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। তাৎক্ষিক বিষয়'টা জানাতে কর্মরত (S.A.C.M.O) উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের ০১৭১১-২৭৮৯৫২ নম্বারে কয়েকদফা কল দিলেও রিসিভ করেনি। যার ফলে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখাযায়, সকল কার্যক্রম চলছে। এ সময় কথা হয় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা তারিনা সুলতানা লাকীর সাথে, তিনি বলেন শাখারীগাতী'তে অবস্থিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে (S.A.C.M.O), (F.W.V) ও একজন আয়া নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম অসুস্থতার কারনে ছুটিতে আছেন। আমার সন্তান অসুস্থ হওয়ায় গত শনিবার আসতে পারিনি এছাড়া আয়াও খুব অসুস্থ যার ফলে শনিবার অনিচ্ছাকৃত ভাবে কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। কাজেই সেবা নিতে আশা লোকজনকে একটু সমস্যা পোহাতে হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের (S.A.C.M.O) ছুটিতে থাকায় সাধারণত সকল দায়ভার আমার উপর বর্তায়। অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্খিত বিষয়টির জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
আপনার অনুভূতি কী?