ভালুকার রূপান্তরের নায়ক ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ: পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের নতুন দিগন্ত।
ইমন সরকার ভালুকা —ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা আজ এক ভিন্ন আলোয় উদ্ভাসিত। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের ধারায় নতুনভাবে গড়ে ওঠা এ উপজেলার পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তাঁর সুপরিকল্পিত ও নিরলস প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে পুরো এলাকার চিত্রপট। সরাসরি পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, ইউএনও কার্যালয়, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চলছে সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতার ধারাবাহিক কর্মসূচি। রঙিন ফুলের বাগান, দেয়ালে প্রাণবন্ত চিত্রকলা, পরিচ্ছন্ন সড়ক ও নান্দনিক আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে উপজেলা জুড়ে। সাধারণ মানুষের মাঝেও এসব উদ্যোগ জন্ম দিয়েছে নতুন এক উদ্দীপনার। ভালুকার নতুন রূপের ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটিজেনরা ইউএনও’র সময়োপযোগী এই কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ একমত যে, প্রশাসনিক উদ্যোগের এমন মানবিক রূপ দেশের জন্য অনুকরণীয় মডেল হয়ে থাকবে। নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, "ভালুকা আমার কর্মস্থল, আমার দায়িত্ব। আমি চাই এ উপজেলা পরিচ্ছন্ন ও মানবিক পরিবেশে পরিচালিত হোক। প্রশাসনের দরজা জনগণের জন্য সবসময় খোলা — এটা যেন শুধু কথায় নয়, বাস্তবেও প্রমাণিত হয়। পরিচ্ছন্নতা শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি মনন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রতীক। আমরা চাই জনগণও আমাদের এ উদ্যোগের অংশীদার হোক। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলের দারুণ সাড়া পাচ্ছি।" স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও ইউএনও’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে গড়ে উঠছে এক দৃঢ় বিশ্বাসের সেতুবন্ধন, যা দীর্ঘমেয়াদে ভালুকাকে নিয়ে যাবে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায়। ভালুকার এক বাসিন্দা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "আগে সরকারি অফিস মানেই ছিল নিরস পরিবেশ। এখন পরিষদ প্রাঙ্গণে ঢুকলেই মনে হয় যেন কোনো উদ্যানে এসেছি। এই সুন্দর পরিবেশ আমাদের নিজেদের চারপাশও পরিচ্ছন্ন রাখার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।" বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভালুকায় গড়ে ওঠা এই পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যচর্চার আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার জন্যও একটি অনুসরণীয় মডেল হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে, তা দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তনের এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। ভালুকার এই রূপান্তর যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে— প্রশাসনিক সদিচ্ছা, জনগণের অংশগ্রহণ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে বদলে দেওয়া সম্ভব একটি গোটা এলাকার ভবিষ্যত।

আপনার অনুভূতি কী?






