যশোরে কুইন্স হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর
যশোর প্রতিনিধি যশোরের কুইন্স হাসপাতালে ক্যাথেটার ও শরীরের স্যালাইন দেওয়ার পর প্লাবন বিশ্বাস(২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনায় হাসপাতালটির অফিস রুম, কাউন্টার ভাংচুর চালান রোগীর স্বজনরা। পরে পুলিশ ও জেলার দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মৃত প্লাবন সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের ওসমান বিশ্বাসের ছেলে। মৃতের স্বজন রমজান বিশ্বাস অভিযোগ করেন, গত ২দিন আগে জ্বার, পেটে ব্যথা ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্লাবন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু সেখানে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না। যে কারেণ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কুইন্স হাসপাতালে স্বজনরা প্লাবনকে ডাক্তার সুব্রত কুমার ঘোষের অধিনে ভর্তি করেন। ভর্তির পরে রোগী ভালোই ছিল। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে প্রসাবের নল(ক্যাথেটার) পরার পরামর্শ দেন ব্যবস্থাপত্রে। তখন ওয়ার্ড বয় তাকে প্রসাবের নল(ক্যাথেটার) পরানোর পরে সেবিকা শরীরের স্যালাইন দেন। এর পরে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্লাবনের মৃত্যু হয়। পরে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠন ও চিকিৎসকের চেম্বার ভাংচুর করেন। এ ব্যাপরে হাসপাতালের ডাক্তার সুব্রত কুমার ঘোষ জানান, প্লাবন ডেঙ্গু রোগী ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে এই ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কিন্তু রক্তের প্লাটিলে অনেক কম থাকায় মেডিশিন শরীরে কাজ করছিল না। ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রোগীর স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটিতে ভাংচুর করে। এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিঠু দাস জানিয়েছেন, ভর্তি রোগী প্লাবনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে। তবে রোগীকে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ চিকিৎসক ভালো বলতে পারবে,।
আপনার অনুভূতি কী?