উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় আখ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
সৈকত মন্ডল, স্টাফ রিপোর্টার উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় আখ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি, লবণাক্ত ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধান ও সবজি চাষ করে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ উপজেলার চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক বিকল্প হিসেবে আখ চাষে ঝুঁকছেন। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সীমান্তর্তী বলেশ্বর নদীর চর এলাকার জমিতে এ বছর ব্যাপকভাবে আখের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা রাত-দিন ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার জমিতে গ্যান্ডারি, তুরফিন জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। অনেকে আখ বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। এ বছর বাজার দর ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি আখ চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভালো হয়। দিন দিন আখ চাষে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে যে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। অতি বৃষ্টির কারণে কিছু খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি সারিয়ে তোলার চেষ্টায় অনেকের। আখ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এটি চাষের মাধ্যমে অতীতের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে চাষিদের অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই এলাকার আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর পাশাপাশি আখ লাগানো থেকে শুরু করে উঠানো পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে-ধাপে সার প্রয়োগ ও রোগ-বালাই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের আখচাষি নিবাস মন্ডল বলেন, ধান-সবজি চাষ করে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়। বিকল্প হিসেবে আখ চাষ অনেক লাভজনক। চরের জমিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। একই গ্রামের সুধাংশু মজুমদার বলেন, আমাদের এলাকার প্রায় সবাই মাছ, ধান, সবজি চাষ ছেড়ে দিয়ে আখ চাষ করতে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। আগামী বছর থেকে আমিও লাভের আশায় আখ চাষ শুরু করবো। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ, এ বছর উপজেলার ৯০ বিঘা জমিতে গ্যান্ডারী, তুরফিনসহ উচ্চফলনশীল জাতের আখের চাষ করা হয়েছে। আখ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৯০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করা সম্ভব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে আখের ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি আগামীতে এ এলাকায় আখ চাষে আপার সম্ভবনা দেখা দিবে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।##
আপনার অনুভূতি কী?