গঙ্গাচড়ায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব: ঘরবাড়ি-ফসল লন্ডভন্ড, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় শনিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হওয়া এই ঝড়ে গাছপালা, শত শত কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের প্রভাবে উপজেলার গঙ্গাচড়া, কোলকোন্দ, বড়বিল, মর্ণেয়া, গজঘণ্টা, আলমবিদিতর এবং লক্ষীটারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছপালা, ধান ও ভুট্টার ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের নুরজামাল বলেন, "হঠাৎ বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে আমাদের ঘরবাড়ি এবং গাছপালা উপড়ে গেছে। ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে।" মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি এলাকার আজিবর জানান, ঝড়ে তার ঘর ভেঙে গেছে এবং ধান ও সবজির ক্ষেতের বড় ক্ষতি হয়েছে। লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, "হঠাৎ ঝড়ে আমাদের ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় রাত থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।" উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম জানান, ঝড়ে কিছু গাছপালা এবং ধান-ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের সামান্য ক্ষতি হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আইয়ুব আলী জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেছে। রাত থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে কাজ চলছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয়নি।

আপনার অনুভূতি কী?






