৫ শিক্ষার্থীর মুক্তি ও ধর্ষণের বিচারে বান্দরবানে বিক্ষোভ
বিস্তারিত প্রতিবেদন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং রাঙামাটির কাউখালিতে এক আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবিতে বান্দরবানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আদিবাসী ছাত্র সমাজ। ২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, বান্দরবান প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পাহাড়ি শিক্ষার্থী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে তারা অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনের নীরবতার প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, “পাহাড় ও সমতলে বারবার ধর্ষণ ও নিখোঁজের মতো ঘটনা ঘটছে। আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেমন এসব ঘটনার বিচার হয়নি, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও একই রকম বিচারহীনতা চলছে। বিচার বহির্ভূত সংস্কৃতি একদিনে গড়ে ওঠেনি।” তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অপহরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী। দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধাররা যদি নিরাপদ না থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রের নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ সমাজের জন্য আত্মবিধ্বংসী। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধিকারকর্মী জন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অংশৈসিং মারমা, শিক্ষক উলিসিং মারমা, শিক্ষার্থী চিতন তংচঙ্গ্যা, পায়াং ম্রো, উশৈহ্লা সহ অনেকে। সমাবেশ থেকে তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সুস্থ অবস্থায় মুক্তি এবং আদিবাসী ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনার অনুভূতি কী?






