যশোরে কবুতর চুরির ঘটনায় একজন আটক চোরাই কবুতর উদ্ধার
যশোর প্রতিনিধি: হাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পোষা কবুতর চুরির অভিযোগে বুধবার দুপুরে গোলাম রসূল(২৮) নামে এক চোরকে চোরাই কবুতর উদ্ধারসহ তাকে আটক করেছে যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এটিএসআই জসিম উদ্দিন।ধৃত চোর গোলাম রসূল যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া বাঁশতলা কবরস্থান পাড়া এলাকার কোরবান আলীর ছেলে ও আবু সাঈদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। সদর ফাঁড়ির পুলিশ কবুতর চোর গোলাম রসুলের স্বীকারোক্তি মতে শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে হাফিজুর রহমানের চুরি হয়ে যাওয়া ২৮ টি কবুতর মধ্যে ১৪ টি কবুতর উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়,শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া বাঁশতলা কবরস্থান পাড়া এলাকার আনোয়ার মোড়লের ছেলে তার বাড়িতে সখের বসে কবুতর পুষে আসছিল। গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর রাতে যে কোন সময় গোলাম রসুলসহ কয়েকজন চোর তার কবুতরের বাসা থেকে ২৮ টি কবুতর চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান যশোর কোতোয়ালি থানায় কবুতর চুরির অভিযোগে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার কবুতর চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে যশোর সদর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই জসিম উদ্দিন চোরাই কবুতরের সন্ধান পান। এসময় তিনি শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে হাফিজুর রহমানের চুরি হয়ে যাওয়া ২৮ টি কবুতরের মধ্যে ১৪ টি কবুতর সহ কবুতর চোর গোলাম রসূলকে আটক করেন। আটক গোলাম রসুল পুলিশের কাছে কবুতর চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। পরে কবুতর কবুতরের মালিক হাফিজুর রহমানকে বুঝায়ে দেন ও চুরির ঘটনায় গোলাম রসূলকে পরে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেন। আটক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে মাদকসহ আরো দুইটি মামলা রয়েছে বলে এটিএসআই জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। চুরি হয়ে যাবা ২৮ টি কবুতরের মূল্য ৭০ হাজার টাকা হবে বলে জানিয়েছেন কবুতরের মালিক হাফিজুর রহমান। আটক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আপনার অনুভূতি কী?