যশোরে বোনকে তালাক দেয়ায় ভাইয়ের আত্মহত্যা
যশোর প্রতিনিধি: বোনকে তালাক দেয়ায় মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের তারিফ হোসেন (২৪) নামের এক যুবক। তার বিয়েতে বোন আসার কারণে ভগ্নিপতি ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে তালাক পাঠান। বিষয়টি কোনোভাবে মানতে পারছিলেন না তারিফ। অবশেষে ,বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কুয়াদা জামজামি এলাকার একটি আমবাগানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করলেন এই যুবক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘরে নতুন রেখে যুবকের এই আত্মহত্যাকে মানতে পারছেন না পরিবারটি। এমনকি প্রতিবেশিদের মধ্যেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিক্ষুব্ধ অনেকে তার বোনের জামাইকে গণপিটুনি দেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। মৃত তারিফ ভবানীপুর গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন-নতুন বউয়ের হাতের মেহেদির রঙ এখনো শুকায়নি। মাসখানেক আগে তারিফকে বিয়ে দেন পরিবার। সেই বিয়েতে বোন এসেছিল বলেই তালাক দেয় ভগ্নিপতি। এটি তারিফের ভেতরে যন্ত্রণা কাজ করছিল। এখন নতুন বউয়ের কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্বজনরা। তারিফ হোসেনের বাবা আতাউর রহমান বলেন, ‘এক মাস আগে ছেলেকে ঝিকরগাছায় বিয়ে দিই। ঘরে নতুন বউ। তারিফের বিয়েতে আমার মেয়ে তাজমিন খাতুন শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছিল। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তার স্বামী আমিনুর। তাজমিনকে এ কারণে তালাক দিয়েছে জামাই।’ তিনি আরও বলেন, বোনের তালাকের বিষয়টি সে মেনে নিতে পারেনি তারিফ। এটা নিয়ে তারিফের মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। বুধবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে অভয়নগর যেতে চেয়েছিল কিন্তু ওর মা বাধা দেন। পরে বাড়ি থেকে মাছ ধরার কথা বলে বেরিয়ে যায়। হঠাৎ খবর আসে জামজামি এলাকায় একটি বাগানে আমগাছে ঝুলে আছে তারিফ।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কানু দত্ত বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে তারিফ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার অনুভূতি কী?