২৭ বছর পর রাঙামাটিতে Division-কে কাঁপিয়ে ফিরে এলো বিভাগীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
রাঙামাটি প্রতিনিধি: ২৭ বছর পর আবারও রাঙামাটির মাঠে ফিরেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ফুটবলের ঐতিহ্য আর আবেগে উন্মাতাল হয়ে উঠেছে পাহাড়ি শহর। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্ট আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাঙামাটি স্টেডিয়ামে। গতকাল ২৪ এপ্রিল বিকেলে মারী স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শারমিন জাহান, সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ রিটন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটির সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনাইদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত এবং পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির প্রতীকী নৃত্য পরিবেশন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি ও রাঙামাটির কৃতি সন্তান জয়া চাকমা, যিনি টুর্নামেন্টের আনন্দঘন পরিবেশকে আরও অনন্য করে তুলেছেন। উদ্বোধনী ম্যাচে বান্দরবানের জয়: প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক রাঙামাটিকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয় বান্দরবান জেলা দল। প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে একমাত্র গোলটি করে বান্দরবান জয় নিশ্চিত করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মোট ১১টি জেলা দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। দলগুলো দুটি জোনে বিভক্ত হয়ে রাঙামাটি ও কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলছে। দুই জোনের চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত হবে শ্রেষ্ঠ দল। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম জেলা দলের মুখোমুখি হবে খাগড়াছড়ি জেলা দল। রাঙামাটি ফুটবল মানেই গর্ব, ইতিহাস আর আবেগ: রাঙামাটির মাঠে প্রিয় জেলা দলের প্রত্যাবর্তন—এ যেন ঘরে ফেরার উৎসব। শক্তি, সামর্থ্য ও ঐতিহ্যে রাঙামাটি দীর্ঘদিন ধরেই ফুটবলের এক উজ্জ্বল নাম। জাতীয় ও স্থানীয় সব পর্যায়ে রাঙামাটির ফুটবল মানেই গর্ব আর প্রাণের উচ্ছ্বাস। জেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা, স্থানীয় তরুণ সমাজ ও ফুটবলপ্রেমীরা মিলে গোটা শহর এখন উৎসবে মাতোয়ারা। অলিগলি মুখর ফুটবল উন্মাদনায়। এটা শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়—এটা রাঙামাটির গর্ব, পাহাড়ের আবেগ, তরুণ প্রজন্মের জেগে ওঠার গল্প। মাঠে আসুন, গর্জে উঠুন—রাঙামাটির পাশে থাকুন। এই উৎসব হোক আমাদের সবার।

আপনার অনুভূতি কী?






