কুষ্টিয়ায় বাম্পার ফলনে কলা চাষে আগ্রহী কৃষকরা: তামাক ও ভুট্টা চাষে আগ্রহ কমছে।
প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: আগে যেখানে গ্রামগঞ্জের পতিত জমিতে সীমিত আকারে কলা চাষ হতো, এখন সেখানে ফসলি জমিতে যত্নসহকারে কলা চাষ করছে কুষ্টিয়ার কৃষকরা। লাভজনক ফসল হিসেবে দিনদিন কলার কদর বাড়ছে। অনুকূল আবহাওয়া, ন্যায্য মূল্য এবং কম পরিশ্রমে ভালো লাভের আশায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক হারে কলা চাষ করছেন কৃষকরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া, উজানগ্রাম, আবদালপুর, হরিনারায়ণপুর, মনোহরদিয়া, গোস্বামীদূর্গাপুর এবং কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর, সদকী, নন্দলালপুর, চাপড়া, যদুবয়রা, চাঁদপুর, পান্টি, চরসাদীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কলাগাছে ব্যাপক ফলন হয়েছে। যদিও মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কলার গাছ কিছুটা ধীর গতিতে বড় হয়েছে, তবে কৃষকদের নিয়মিত পরিচর্যায় ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু গাছে আগাম কলা পাকতেও শুরু করেছে। প্রচলিত ফসলের চেয়ে কলা চাষে খরচ কম, শ্রমও কম লাগে, আবার বাজারে দামও স্থিতিশীল—এসব বিবেচনায় অনেক কৃষক কলাকে প্রধান ফসল হিসেবে নিচ্ছেন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত কলা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহরে সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে জেলার অনেক চরাঞ্চলে যেখানে অন্য ফসল ভালো হয় না, সেখানে পুষ্টিকর ফল কলার চাষ করে সাফল্য পাচ্ছেন কৃষকরা। এর পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে ওল ও পটল চাষ করে বাড়তি আয় করছেন তারা। একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করে কৃষকেরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ধীরে ধীরে তামাক ও ভুট্টার মতো জমিন নষ্টকারী ফসল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কলা চাষের এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকলে কুষ্টিয়ার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলে আশাবাদী কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

আপনার অনুভূতি কী?






